গো মাংস ও হিন্দু ধর্ম

                 গো মাংস ও হিন্দু ধর্ম
প্রচলিত আছে  সনাতন বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গরুকে (গো) মায়ের সমতুল্য মনে করেই গো মাংস বা গোশত আহার থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখেন | উনাদের ধর্ম মতে গো মাংস খাওয়া ধর্মের পরিপন্থী |তাই হিন্দু জনসমষ্টি গো মাংস খায় না। গো হত্যা ও গো মাংস খাওয়াকে তারা পাপ হিসেবে গণ্য করে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে আসলেই কি গরু খাওয়া হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ ? এ প্রসঙ্গে আমরা হিন্দু ধর্মীয় অনুশাসনে গরুর অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারি।
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “এই ভারতবর্ষেই এমন এক দিন ছিল যখন কোন ব্রাহ্মণ গরুর মাংস না খেলে ব্রাহ্মণই থাকতে পারতেন না। যখন কোন সন্ন্যাসী, রাজা, কিংবা বড় মানুষ বাড়ীতে আসতেন, তখন সবচেয়ে ভালো ষাঁড়টিকে কাটা হতো। (Collected works of Swami Vivekananda, Advaita Asharama,1963, Vol III, page 172)। ঋগ্বেদের প্রাচীন ভাষ্যকার হিসেবে সায়না চার্যের নাম বিখ্যাত। তাঁর আগেও বিভিন্ন ভাষ্যকার, যেমন স্কন্দস্বামী, নারায়ণ, প্রমুখ ঋগ্বেদের ভাষ্য করেছেন।
ভাষ্যকর আচার্য সায়ন লিখেছেন তার অনুবাদে, “You (O Indra), eat the cattle offered as oblations belonging to the worshippers who cook them for you. (Atharvaveda 9/4/1)”
“হে ইন্দ্র গ্রহন কর সেসব গরুর মাংস যা তোমাকে তোমার ভক্তরা রন্ধন করে উৎসর্গ করেছে।”
ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৩ তে গরু রান্না করার কথা পাওয়া যায়।
ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৪ তে ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে।
Rig Veda 10.86.১৪ [Indra speaks :] The worshippers dress for me fifteen (and) twenty bulls : I eat them and (become) fat, they fill both sides of my belly ;Indra is above all (the world).
এমনকি বেদ খুব স্পষ্টভাবে যজ্ঞে পশু হত্যার বিধান দিয়েছে।
উপনিসদে ও গরু খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভালো সন্তান পাবার জন্য ষাঁড়ের মাংস খাওয়া উচিত। Brihadaranyak Upanishad 6/4/18 suggests a ‘super-scientific’ way of giving birth to a super intelligent child.
এ ব্যাপারে আরো স্পষ্ট বিধান দিয়েছে মনুসংহিতা। মনুসংহিতা ৫/৪৪ বলা হয়েছে, “শ্রুতিবিহিত যে পশুহত্যা, তাহাকে অহিংসাই বলিতে হইবে, যেহেতু বেদ ইহা বলিতেছে।”
অগ্নির কাছে নিবেদনে বলদ, ষাঁড় এবং দুগ্ধহীনা গাভী বলিদানের উল্লেখ আছে। (ঋগবেদ সংহিতা, ১/১৬২/১১-১৩, ৬/১৭/১১,১০/৯১/১৪)।
মহাভারতেও গরু খাওয়ার কথা আছে, মহাভারত বন পর্ব, খন্ড ২০৭, অনুবাদে কিশোরী মোহন গাংগুলি।
বিষ্ণুপুরাণ বলছে,ব্রাহ্মণদের গো-মাংস খাইয়ে হবিষ্য করালে পিতৃগণ ১১ মাস পর্যন্ত তৃপ্ত থাকেন। আর এ স্থায়িত্ব কালই সবচেয়ে দীর্ঘ (বিষ্ণুপুরাণ ৩/১৬)। বৃষের মাংস [বেদ:১/১৬৪/৪৩],মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮],অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হত। আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [বেদ:৪/১/৬]। আর এজন্যই হয়তোবা স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,
“You will be astonished ifI tell you that, according to the old ceremonials, he is not a good Hindu who does not eat beef. On certain occasions he must sacrifice a bull and eat it. [The complete works of Swami Vivekananda, Volume 3, Pg 536]”
জগত গুরু আদি শংকরাচার্য,যিনি ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন। তিনি অদ্বৈত বেদান্ত শাখার প্রতিষ্ঠাতা। শংকরাচার্যের গীতাভাষ্য হিন্দু ধর্মীয় পন্ডিত মহলে অত্যন্ত বিখ্যাত। তিনি ব্রাক্ষসুত্র অধ্যায় ৩, পাদ্য ১, সূত্র ২৫ এ লিখেছেন, “যজ্ঞে পশু হত্যা পাপ হিসেবে বিবেচিত হবে না, কারন শাস্ত্রই ইহার অনুমোদন দিয়েছে।”
বেদে স্পষ্ট ভাবে গরু খাওয়ার কথা থাকলেও হিন্দুরা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।
হিন্দুরা হাজির করে ঋগ্বেদ (৭/৫৬/১৭) এই শ্লোক। ঋগবেদের ঐ শ্লোকে নাকি গোহত্যা কে মানুষ হত্যার সমকক্ষ বলা হয়েছে। নীচে তুলসীরামের উক্ত শ্লোকের অনুবাদ দিলাম দেখুন তো এরকম কিছু আছে কিনা।
এরপর আবার হিন্দুরা ,অথর্ব বেদের (৮/৩/১৫) এই শ্লোক দেখায় যেখানে বলা হয়েছে গো হত্যা ও ঘোড়া হত্যা উভয়ই নিষিদ্ধ। এখানে হিন্দুরা সত্য লুকিয়ে লেখে ঘোড়ার মাংস ও যেকোন প্রানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছে। কিন্তু সত্য হলো ঐ শ্লোকে বলা হয়েছে যারা বহিঃশত্রু দেশকে আক্রমণ করবে এবং প্রানীর মাংস, ঘোড়ার মাংস ও মানুষের মাংস খায় তাদেরকে হত্যা কর। ধারাবাহিক ভাবে এই মন্ত্রগুলো যেমন ৭,৮,৯ পড়লেই পরিষ্কার বোঝা যাবে।
অথর্ব বেদের (৮/৩/১৫) এই শ্লোকে স্পষ্টভাবে গরুর দুধ গ্রহনকারীরও একি শাস্তি দেয়ার কথা আছে। তার মানে কি গরুর দুধ খাওয়াও বেদের নিষেধ ? এটি আরো স্পষ্ট আছে ১৭ নাম্বার মন্ত্রে, এখানে বলা গরুর দুধ যে খায় তার বুকে বর্শা মারার কথা।
এখন এই মন্ত্রগুলোর অর্থ সার্বজনীন ভাবে নিলে হিন্দুরা কি বলবে যে বেদ অনুসারে দুধ খাওয়াও মানা ? এরপর হিন্দুরা ঋগ্বেদের ১/১৬৪/৮০ এবং অথর্ব বেদের ৯/১০/২০ ও ৭/৭৩/১১ এইসব শ্লোক দেখিয়ে বলে এইসব শ্লোকে গরুকে (আঘ্ন্যা) বলা হয়েছে। আঘ্ন্যা মানে যাকে হত্যা করা উচিত নয় । অথচ এইসব শ্লোকে শুধুমাত্র মা গরুকে অর্থাৎ যে গরু থেকে দুধ পাওয়া যায় সেই গরুর প্রসংগে (আঘ্ন্যা) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে অর্থাৎ যে গরু দুধ দেয় সেই গরু হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে। নীচের স্ক্রীনশটে দেখুন (ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৮০) শ্লোকের তুলসীরামের অনুবাদ। তুলসীরাম লিখেছেন,Invioable ( (আঘ্ন্যা) as Mother Cow.
তুলসীরাম অথর্ব বেদ ৯/১০/২০ শ্লোকেও একই কথা লিখেছেন, Invioable (আঘ্ন্যা) as Mother Cow. হিন্দুরা আবার হাজির করে ঋগ্বেদের ৮/১০১/১৫ এই শ্লোক…. (Do not kill the cow. Cow is innocent and aditi – that ought not to be cut into pieces)।
মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, “I know there are scholars who tell us that cow-sacrifice is mentioned in the Vedas. I… read a sentence in our Sanskrit text-book to the effect that Brahmins of old (period) used to eat beef. ( M.K.Gandhi, Hindu Dharma, New Delhi, 1991, p. 120). অর্থাৎ, “আমি জানি (কিছু সংখ্যক পণ্ডিত আমাদের বলেছেন) বেদে গো-উৎসর্গ করার কথা উল্লেখ আছে। আমি আমাদের সংস্কৃত বইয়ে এরূপ বাক্য পড়েছি যে,পূর্বে ব্রাহ্মণরা গো-মাংস ভক্ষণ করতেন।” (হিন্দুধর্ম, এম.কে. গান্ধী,নিউ দিল্লি,১৯৯১,পৃ. ১২০)॥
সনাতন (হিন্দু) ধর্মের সুপ্রাচীন এবং শ্রদ্ধার সাথে অনুসরনীয় বিশ্বস্ত ধর্মগ্রস্থ বিষ্ণু পুরান। বিষ্ণু পুরানের ষোড়শ অধ্যায় বা ১৬তম অধ্যায়ে কোন হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুর পরে তার বংশধর গণ কর্তৃক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের জন্য একটি খাদ্য তালিকা দেয়া আছে। কোন খাদ্য দ্বারা শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে আগত ব্রাক্ষণ বা অতিথিদের আপ্যায়ন করা হলে মৃত ব্যক্তিগণের আত্মা পরিতৃপ্ত থাকেন তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা বিষ্ণু পুরানের ১৬তম অধ্যায়। শ্রাদ্ধের খাদ্য তালিকার মুল সংস্কৃতি শ্লোক ও অনুবাদসহ উল্লেখ করা হলো।
ষোড়শ: অধ্যয়
হবিষ্য-মৎস্য-মাংসৈ¯ত্ত শশস্য শকুনস্য চ।
শৌকরচ্ছাগলৈরৈণৈরৌবৈর্গবয়েন চ।। ১
ঔরভ্রগব্যৈশ্চ তথা মাসবৃদ্ধ্যা পিতামহাঃ।
প্রয়াঅন্তি তৃপ্তিং মাংসৈ¯ত্ত নিত্যং বাধ্রীণসামিষৈঃ।।২
খড়গমাংসমতীবাত্র কালশাকং তথা মধু।
শস্তানি কর্ম্মণ্যত্যন্ত-তৃপ্তিদানি নরেশ্বর।। ৩
ষোড়শ অধ্যায়
[শ্রাদ্ধে মধু-মাংসাদি দানফল এবং ক্লীবাদি দ্বারা শ্রাদ্ধ দর্শন দোষ বর্ণন]।
ঔর্বব্ বলিলেন,-শ্রাদ্ধের দিনে ব্রাক্ষণদিগকে হবিষ্য করাইলে পিতৃগণ একমাস পর্য্যন্ত পরিতৃপ্ত থাকেন, মৎস্য প্রদানে দুইমাস, শশকমাংস প্রদানে তিন মাস, পক্ষিমাংস প্রদানে চারি মাস, শূকরমাংস প্রদানে পাঁচ মাস ছাগ-মাংস প্রদানে ছয় মাস’ ত্রণ (মৃগবিশেষ) মাংস দিলে সাত মাস, রুরুমৃগমাংস প্রদান করিলে আট মাস, গবয়মাংস প্রদানে নয় মাস, মেষমাংস প্রদানে দশ মাস, গোমাংস প্রদান করিলে এগার মাস পর্য্যন্ত পিতৃগণ পরিতৃপ্ত থাকেন। পরন্ত যদি গোমাংস দেওয়া যায়, তাহা হইলে পিতৃলোক চিরদিন তৃপ্ত থাকেন। হে রাজন! গন্ডারের মাংস, কৃষ্ণ শাক ও মধু –এই সমূদায় দ্রব্য শ্রাদ্ধকর্ম্মে অত্যন্ত প্রশন্ত ও অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক।
পৃষ্ঠা নং-২২৯-২৩০
শ্রী মহর্ষি বেদব্যাস প্রনীত বিষ্ণু পুরান।
আচার্য্য পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত প্রকাশক নবভারত পাবলিকার্স ৭২ মহাত্মা গান্ধী, রোড কলিকাতা ভারত। প্রকাশ কাল ১৩৯০ বাংলা।
সনাতন হিন্দু ধর্মের বিধি বিধান বা ফিকাহ শাস্ত্র হিসাবে বিবেচিত গ্রন্থ মনুসংহিতার পঞ্চতম অধ্যায়ে ভক্ষ ও অভক্ষ মাংস বা মাংস ভক্ষনের বিধি বিধান বর্ণনা করা আছে।
শ্লোক নং-।।১৭।। এব এবং।। ১৮।। বাংলা অনুবাদসহ মুল সংস্কৃত শ্লোক উদ্বৃত করা গেল।
ন ভক্ষয়েদেকচরানজ্ঞাতাংশ্চ মৃগদ্বিজান॥
ভক্ষ্যেদ্বপি সমুদিষ্টান সর্বান, পঞ্চনখাংস্তথা।। ১৭।।
অনুবাদ একচর প্রার্ণী (যেমন, সাপ, পেঁচা প্রভৃতি), এবং অজানা মৃগ (অর্থাৎ পশু) ও পাখী ভক্ষণ করবে না॥ আবার সামান্য ও বিশেষ রূপে নিষেধ না থাকায়, পঞ্চনখ প্রাণীও (যাদের পাঁচটি করে নখ আছে, যেমন, বানর, শৃগাল, প্রভৃতিও) ভক্ষণ করবে না।।১৭।।।
শ্বাবিধং শল্যকং গোধাং খড়গকুর্মশশাংস্তা।
ভক্ষ্যান্ পঞ্চনখেদ্বাহুরনষংশৈচকতোদতঃ।। ১৮।।
অনুবাদ : পঞ্চনখ প্রাণীদের মধ্যে শ্বাবিধ (শজারু), শল্যক, গোধা অর্থাঃ গোসাপ, গন্ডার, কুর্ম (কচ্ছপ), শশক (খরগোস)-এই ছয়টি ভোজন করা যায়। একতোদৎ অর্থাৎ এক পাটী দাঁত বিশিষ্ট পশুদের মধ্যে উট ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর (যথা, গরু, মেষ, ছাগল, হরিণ) মাংস ভোজ্যরূপে গ্রহণ করা যায়।।। ১৮।।
শ্রাদ্ধের জন্য নিবেদিত মাংস যদি শ্রাদ্ধ কারী স্বয়ং ভক্ষন না করেন তার কি পরিমান পাপ হয় বা মৃত্যুর পর তার কি শাস্তি হয় তার বর্ণনা পঞ্চম অধ্যায়ের।। ৩৫।। তম শ্লোকে বলা আছে। সংস্কৃত মুল শ্লোকটি বাংলা অর্থসহ উদ্ধৃত করা গেল।
নিযুক্ত¯ত্ত যথান্যায়ং যো মাংসং নাত্তি মানবঃ।
স প্রেত্য পশুতাং যাতি সম্ভবানেকবিংশতিম॥।৩৫।।
অনুবাদ : যে মানুষ শ্রাদ্ধে দেবলোক ও পিতৃলোকে যথাবিধি মাংস নিবেদন করে ঐ মাংস ভোজন না করে, সে মৃত্যুর পর একুশ জন্ম পশুযোনি প্রাপ্ত হয়। (সম্ভব শব্দেৃর অর্থ জন্ম)।। ৩৫।।
অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি গোমাংশ দ্বারা তাহার মৃত পিতৃ পুরুষের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করেন আর স্বয়ং গোমাংশ ভক্ষণ না করেন সে মৃত্যুর পর অন্তত কুড়ি বার পশুযোনীসহ জন্ম গ্রহণ করবে। অর্থাৎ পশু হিসাবে জন্ম গ্রহণ করবে।
সনাতন হিন্দু ধর্মের অত্যন্ত বিশস্ত ২টি মূল ধর্মগ্রন্থ’ থেকে আমি একথা প্রমাণ করতে পেরেছি যে, সনাতন ধর্মমতে গো বলীদান এবং গো-মাংস ভক্ষণ ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত। শুধু স্বীকৃতই নয় বরং পরলোকগত পিতৃ পুরুষের আত্মার মুক্তি কামনার জন্য শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মের সর্বাপেক্ষা উচ্চ বর্ণের অধিকারী এবং ধর্মীয় গুরু ব্রাক্ষনগণকে গো মাংস দ্বারা আপ্যায়ন করালে ১১ মাস যাবৎ মৃত ব্যক্তির আত্মা পরিতৃপ্ত থাকে।
হিন্দু শাস্ত্রের পবিত্র হিসেবে বিবেচিত গ্রন্থই গরুকে গো-মাতা বা গো- দেবতা হিসাবে উপস্থাপন বা উল্লেখ করা হয় নাই। বরং হিন্দু ধর্মে আদিধর্ম গ্রন্থ বেদ-এর বিভিন্ন প্রার্থনার স্লোকে পূর্বেকার মনিঋষিগণ  গরুকে সম্পদ হিসাবে প্রার্থনা করিয়াছেন।
অতএব হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন সূত্র প্রমাণ করে যে  গরু খাওয়া হিন্দু ধর্ম সম্মত।
আইন করে বাংলাদেশে যে সকল হিন্দু ভাইয়েরা গরু কোরবানি বন্ধের জন্যে যে  সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন পক্ষান্তরে নিজের ধর্মের বিরোধিতাই করছেন |